খেলাধুলা ডেস্ক:
সর্বশেষ বাফুফে নির্বাহী কমিটির সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনীর বিষয় উঠেছিল। সভায় ৩০ দিনের মধ্যে গঠনতন্ত্র সংস্কারের খসড়ায় কোনো ধরনের সংশোধনী থাকলে সেটির ফিডব্যাক দিতে বলা হয়। এরপর ফিফা অনুমোদন দিলেই চূড়ান্ত হবে বাফুফের গঠনতন্ত্র।
বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে নির্বাহী কমিটির কোন পদে কতবার থাকা যাবে, তার কোনো বাঁধা-ধরা নিয়ম নেই। তবে খসড়া গঠনতন্ত্রের ৩৭ অনুচ্ছেদে সেটি পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ ‘তিনবারের বেশি নয়’ এমন বিধান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ টানা কিংবা বিরতি যেভাবেই হোক কেন-তিনবারের বেশি কেউ কোনো পদে থাকতে পারবেন না। সভাপতিসহ সব পদের জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে। ফিফার গঠনতন্ত্রেও তিনবারের বেশি কোনো পদে থাকা যাবে না- এমন নিয়ম আছে।
তবে সেখানে সভাপতি পদে কিছুটা শিথিলতা রয়েছে। কেউ দুই মেয়াদে সহসভাপতি বা সদস্য থাকলে পরবর্তী সময়ে সভাপতি নির্বাচিত হলে আরো দুবার সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারবেন। বাফুফের বর্তমান কমিটিতে এমন অনেকেই আছেন, যারা তিনবার কিংবা তার বেশি মেয়াদে কমিটিতে আছেন। অবশ্য তারা পরবর্তী নির্বাচন করতে পারবেন। কেননা গঠনতন্ত্রের ৯১ অনুচ্ছেদে ট্রানজিশনাল প্রভিশনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, নতুন গঠনতন্ত্র পাস হওয়ার পরবর্তী নির্বাচন থেকে মেয়াদ গণনা শুরু হবে।
অন্যদিকে, বাফুফে খসড়া গঠনতন্ত্রে ফিফা-এএফসি আদলে নির্বাচন ব্যবস্থা একটু জটিল করা হয়েছে। সভাপতি, সহসভাপতি পদে নির্বাচন করতে হলে এখন দুজন সমর্থক কিংবা প্রস্তাবক হলেই হয়। খসড়ায় সেখানে কমপক্ষে পাঁচজনের সমর্থন প্রয়োজন বলা হয়েছে। সদস্য পদের জন্য দুজনই বহাল আছে। এতদিন সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি পদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেলেই নির্বাচিত হয়ে এসেছে। এখন সেটি কিছুটা কঠিন হয়েছে। এই পদগুলোতে নির্বাচিত হতে হলে কাস্টিং ভোটের ৫০ শতাংশ পেতে হবে প্রার্থীকে।
তাছাড়া বাফুফের বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে ২৫ বছরের কম এবং ৭২ বছরের বেশি হলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না বলা আছে। খসড়া গঠনতন্ত্রে বয়সের এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেকোনো বয়সের কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। নতুন গঠনতন্ত্রে নির্বাহী কমিটির আকার ২১ জনই থাকছে।