পাকিস্তানকে হারিয়ে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

খেলাধুলা ডেস্ক:

পুঁজি ছিল অল্প। কিন্তু তারপরও বোলারদের দাপটে দুর্দান্ত জয় পেল বাংলাদেশ। জিতল ৮ রানে। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ তে নিশ্চিত করল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লেন লিটন দাসরা। মিরপুরে ছোট সংগ্রহ বাংলাদেশের জন্য কোনো ব্যাপারই না। এটা ফের প্রমাণ করল দেশের ছেলেরা। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এবারও লো স্কোরিং ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল দামাল ছেলেরা। টানা জয়ে সিরিজ ট্রফি নিজেদের করে নিল টাইগাররা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলে ১৫ রানেই সফরকারী হারিয়ে ফেলেছিল ৫ উইকেট। পরে ৮৮ রান তুললে গিয়ে নাই হয়ে যায় তাদের ৮ উইকেট। বিপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানকে প্রায় জয়ের দোরগড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন ফাহিম আশরাফ। ৩২ বলে ৪টি করে বাউন্ডারি ও ছক্কায় তার ৫১ রানের দারুণ ইনিংসের ওপর ভর করে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠলেও লাভ হয়নি। শেষ হাসি হাসতে পারেনি সালমান আগার দল। ১৯.২ ওভারে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট শিকার করেন। দুটি করে উইকেট নেন মাহেদি হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব।

তার আগে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ১৩৩ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে জাকের আলী অনিক ও শেখ মাহেদি হাসানের দুটি ইনিংসে ভর দিয়ে স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।

এদিন একাদশ থেকে বাদ পড়েন তানজিদ হাসান তামিম। তার পরিবর্তে সুযোগ পান নাঈম শেখ। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এই ওপেনার। ফাহিম আশরাফের শিকার হওয়ার আগে ৭ বলে ৩ রান করে বিদায় নেন নাঈম। দলীয় ২৮ রানে লিটন কুমার দাস, তাওহীদ হৃদয়, পারভেজ হোসেন ইমনকেও হারায় বাংলাদেশ। এই তিনজনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ রান করেন ইমন। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। ডাক মারেন হৃদয়। রান আউট হন এই মিডলঅর্ডার।

পঞ্চম উইকটে ৫৩ রান যোগ করেন জাকের ও মাহেদি। পরেরজন ২৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। মাহেদি ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যান জাকের। ইনিংসের শেষ বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। তার ৪৮ বলের ইনিংসে ছিল একটি চার ও পাঁচটি ছয়ের মার। পাকিস্তানের হয়ে সালমান মির্জা, আহমেদ দানিয়েল ও আব্বাস আফ্রিদি দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া ফাহিমের সমান এক উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ১৩৩/১০, ২০ ওভার (জাকের ৫৫, মাহেদি ৩৩, ইমন ১৩, লিটন ৮, রিশাদ ৮; মির্জা ২/১৭, দানিয়েল ২/২৩ ও আব্বাস ২/৩৭)।

পাকিস্তান: ১২৫/১০, ১৯.২ ওভার (ফাহিম ৫১, আব্বাস ১৯, দানিয়েল ১৭ ও খুশদিল ১৩; শরিফুল ৩/১৭, তানজিম ২/২৩ ও মাহেদি ২/২৫)।

ফল: বাংলাদেশ ৮ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: জাকের আলী (বাংলাদেশ)।

Share