ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় বাধা দিতে সারাদেশ থেকে ‘মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা’ গোয়েন্দা সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গোপালগঞ্জে জড়ো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল্লাহ হায়দার।
গোপালগঞ্জে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষ্যে মার্চ টু গোপালগঞ্জ কর্মসূচিতে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে বুধবার রাতে বাংলামোটরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মশাল মিছিল করে এনসিপি।
মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার বলেন, “সারা বাংলাদেশ থেকে মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জে গিয়ে ঘাপটি মেরে অবস্থান করেছিল। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থাকার পরও সমাবেশের আগেই আমাদের সভামঞ্চে হামলা চালিয়েছে উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা। পুলিশ সেখানে নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়েছিল। অথচ গত জুলাইতে তারা কী পরিমাণে অস্ত্র চলিয়েছিল।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা চেয়েছিল অভ্যুত্থানের নায়কদের সেখানে হত্যা করতে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি অভ্যুত্থানের নায়কদের রক্ষা করতে না পারেন আগামীকালই আপনারা ইস্তেফা প্রদান করুন। আমরা এখন বোনাস লাইফ লিড করছি। এই ছোটখাটো হামলা করে আমাদেরকে ভয় দেখানো যাবে না। জুলাইকে দমিয়ে রাখা যাবে না। যতদিন পর্যন্ত নতুন সংবিধান, মুজিববাদের কবর রচিত না হবে ততদিন পর্যন্ত জুলাই চলমান থাকবে।
এই গোপালগঞ্জে ইতোপূর্বে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। আমরা কিন্তু সেটা ভুলে যাইনি। আজকে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে, ইউএনওর গাড়িতে আগুন দিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
বাংলামোটর থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে কারওয়ান বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব নিজামউদ্দিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ফরিদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এসএম শাহরিয়ার, সংগঠক সানাউল্লাহ খান, ফয়সাল মাহমুদ শান্তসহ অন্যান্যরা।