ডেস্ক রিপোর্ট:
কয়েকটি গণমাধ্যমে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে প্রকাশ করা সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। সেই সঙ্গে যারা এক-এগারোর পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করছেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের গণসার্বভৌমত্বের অনুপ্রেরণায় তাদের মোকাবিলার দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা বলেছে এনসিপির।
শনিবার রাতে দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের পাঠানো জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে কয়েকটি পত্রিকার নাম উল্লেখ করে বলা হয়, আতিক মোর্শেদকে নাহিদ ইসলামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে আতিক মোর্শেদ তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তিনি বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ ছাড়া গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি আহ্বায়ক পরিষ্কার করেছেন যে, উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় ‘নগদ’ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ছিল। ফলে নগদ সংক্রান্ত ব্যাপারে তাকে জড়িয়ে এমন প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
এনসিপি দাবি করেছে, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপর কোনো রূপ যাচাই-বাছাই ছাড়া একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মিডিয়া সেল থেকেও অব্যাহতভাবে এনসিপি এবং নাহিদ ইসলামকে টার্গেট করে ‘ফটোকার্ড’ প্রকাশ করতে দেখেছি আমরা, যা গভীর উদ্বেগের ও শঙ্কাজনক।
দলটি বলেছে, একটি গণঅভ্যুত্থানের পরও বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো থেকে প্রত্যাশিত ভূমিকা আমরা দেখছি না। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরের মতো গণমাধ্যমেও পতিত ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহকদের দেখা যাচ্ছে। খোদ অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যাকেই নানা মহল বিতর্কিত এবং প্রশ্নসাপেক্ষ করার প্রয়াস চালাচ্ছে।
এ ছাড়া গণমাধ্যমে পুরোনো কায়দায় রাজনৈতিক দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর থেকেই কিছু রাজনৈতিক পক্ষকে গণমাধ্যমের মালিকানা ও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখলে তৎপর হতে দেখা গেছে, যাতে বিভিন্ন অলিগার্ক মাফিয়া মিডিয়া মালিকদের সংশ্লিষ্টতাও স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে।