ঐকমত্য কমিশনে ইউপিডিএফের বৈঠক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাক

ডেস্ক রিপোর্ট:

ঐকমত্য কমিশনের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠককে সরাসরি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে ও গভীর উদ্বেগ জানিয়ে এই বৈঠক বাতিলের দাবি জানিয়েছে অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাক।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এসময় তিনি বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে আজ ২০২৫ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। ভারতের দখলবাদী নীতির ছায়ায় একটি গোষ্ঠী বরাবরই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে এসেছে।ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর প্রত্যক্ষ মদদে পরিচালিত সংগঠনসমূহ আজও ‘স্বায়ত্তশাসন’-এর নামে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এই স্বায়ত্তশাসনের দাবির পেছনে দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য হচ্ছে তথাকথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন।

ইঞ্জি. শাক আরও বলেন, আজও পাহাড়ে ৫-৬টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন অস্ত্র নিয়ে খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ চালিয়ে যাচ্ছে। জেএসএস, ইউপিডিএফ, কেএনএফসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন পাহাড়ে চাঁদার টাকায় রাজত্ব কায়েম করেছে।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ একটি অনিবন্ধিত, অবৈধ ও সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে বৈঠকে বসছে, যা সরাসরি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

এসময় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি আরো বলেন, যে সংগঠনের হাতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের রক্ত, যারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের সঙ্গে কীভাবে একটি সরকারি কমিশন বৈঠক করে? এটি কি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরোক্ষ স্বীকৃতি নয়?

পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এ অঞ্চলের সংকট শুধু আঞ্চলিক নয়, বরং এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, জাতীয় ঐক্য এবং সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

এসময় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, একই সময়ে সন্তু লারমা ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নিয়ে সে দেশে অবস্থান করছেন, যা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তার রাজনৈতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির ইঙ্গিত বহন করে।

এসময় তিনি পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো-

১৫ মে ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক অবিলম্বে বাতিল করা; জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে ড. ইফতেখারসহ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সহযোগীদের অপসারণ করা; ইউপিডিএফ, জেএসএস, কেএনএফ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা; সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া এবং রাষ্ট্রদ্রোহী সন্তু লারমার প্রটোকলপ্রাপ্ত অবস্থান বাতিল করে তার ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা বন্ধ করা।

Share