ডেস্ক রিপোর্ট:
শ্রম দেওয়া ছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় শ্রমিকের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা বাংলাদেশের আইনে নেই। এ কারণে প্রচলিত আইনে শ্রমিকেরা মালিকের বা পুঁজিপতিদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়ে আছে বলে জানিয়েছে যুব বাঙালি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পরিবাগ ডিসিসি সুপার মার্কেট প্রাঙ্গণে মহান মে দিবস উপলক্ষে যুব বাঙালি আয়োজিত এক শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শ্রম-কর্ম-পেশাজীবীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে বলে জানান বক্তারা। তারা বলেন, তারই পথ পরিক্রমায় স্বাধীন বাংলাদেশে শ্রম-কর্ম-পেশাজীবীদের ‘অধিকার’ থাকলেও তারা ‘ক্ষমতা’ ও ‘কর্তৃত্বহীন’। শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণ ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে শুধু মাত্র বেতন ভাতা ও ছুটির জন্য দাবি উত্থাপন করা ছাড়া আর কোনো অধিকার রাখে না। পরাধীন আমলের কারখানা ও শ্রমিক অধিকার আইন এ যাবৎ স্বাধীন বাংলাদেশে বহাল থাকায় মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক রয়ে গেছে ঔপনিবেশিক আমলের প্রভু-দাসের মতোই।
সমাজ পরিচালনা, উৎপাদন-বন্টন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয়-কাঠামোয় শ্রম-কর্ম-পেশাজীবীদের আইনগত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাই মহান মে দিবসের অঙ্গীকার হওয়া জরুরি বলে মনে করেন বক্তারা।