ভারতে আ.লীগের কার্যালয় বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশের

ডেস্ক রিপোর্ট:

ভারতের মাটিতে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কর্মকাণ্ডসহ অবিলম্বে রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করতে দি‌ল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত, ভারত থেকে চালানো তাদের কর্মতৎপরতা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

আমার দেশ-এ ‘দিল্লিতে শেখ হাসিনার কার্যালয়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ বিবৃতি দেওয়া হয়। গত কয়েক সপ্তাহ আগে ‘দিল্লিতে বসে আওয়ামী লীগের বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা’ বিষয়ে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আমার দেশ। এছাড়া কলকাতায় আওয়ামী লীগের অফিস শিরোনামে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের রাজধানী দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অফিস স্থাপনের খবর বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ভারতের মাটিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশবিরোধী কার্যকলাপের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটেছে। মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধের কারণে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় পলাতক আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতা এখন ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছেন।

গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় একটি এনজিওর আড়ালে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির (আওয়ামী লীগ) কয়েকজন সিনিয়র নেতা দিল্লি প্রেস ক্লাবে জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগের লক্ষ্যে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের মধ্যে পুস্তিকা বিতরণ করেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন দেশটির মাটিতে দলটির ক্রমবর্ধমান তৎপরতার কথা নিশ্চিত করেছে।

ভারতে অবস্থান করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতাকর্মীদের বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো, বিশেষ করে অবৈধভাবে অফিস স্থাপনসহ যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাংলাদেশের জনগণ এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবমাননা। এ ঘটনা পারস্পরিক বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধার ভিত্তিতে পরিচালিত ভারতের সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার ঝুঁকিও বহন করে ও বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলে।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এটি বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে নেতিবাচক অনুভূতির (পাবলিক সেন্টিমেন্ট) উদ্রেক করতে পারে, যা দুই নিকটতম প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক আরো উন্নত করার জন্য উভয় দেশের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।

বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে অনুরোধ করছে, বাংলাদেশি কোনো নাগরিক দ্বারা ভারতের মাটিতে যেন বাংলাদেশবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালিত না হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং অবিলম্বে ভারতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করবে।

Share