আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরান এবারের সংঘাতে টিকে গেছে। কিন্তু দেশটির সামরিক শক্তি বিশেষ করে আকাশ প্রতিরক্ষা ও বিমান শক্তি ভেঙে পড়েছে।
অবশ্য ইরান মূলত মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির দেশ। সে তুলনায় এর বিমান প্রযুক্তিকে সেকেলে মনে করা হয়। এর নৌশক্তিও অত্যাধুনিক নয়।
এছাড়া আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি না থাকায় দেশটি তার আকাশ রক্ষা করতে পারেনি। ফলে লড়াইয়ের শুরুতেই ইরানের আকাশ দখল করে নেয় ইসরাইল।
একদিকে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বিমান হামলা শনাক্ত বা কার্যকরভাবে ঠেকাতে পারেনি। অন্যদিকে দুর্বল যুদ্ধ বিমানগুলোও আকাশে উড়ে ইসরাইলের বিমান থামানোর চেষ্টা করেনি। বরং ঘাঁটিতে থাকা অবস্থাতেই বেশ কিছু বিমান ধ্বংস হয়েছে।
তবে ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইসরাইলকে চমকে দিয়েছে। এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষতির মুখেও পড়েছে ইসরাইল।
তুরস্কভিত্তিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মুরাত আসলান বলেন, সংঘাত আপাতত থামার পর ইরান এখন চেষ্টা করবে সামরিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর। এক্ষেত্রে তার বড় ভরসা হবে চীন-রাশিয়া।
‘ইরানের সামনে এখন তিনটি বড় কাজ। প্রথমটি হচ্ছে—ইরান রাষ্ট্রটি নানা বিভক্তির কারণে ভেতর থেকেই দুর্বল। এখন তারা বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য আনার উদ্যোগ নেবে,’ তিনি বলেন।
দ্বিতীয় হচ্ছে— ইরান এখন রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসইউ-থার্টি ফাইভ বিমান কেনা শুরু করবে। তাদের মধ্যে যেহেতু চুক্তি আছে, এটা কয়েকমাসের মধ্যেই ঘটতে পারে।’
তৃতীয় হচ্ছে—ইরান এখন চীনের দিকে ঝুঁকবে আকাশ প্রতিরক্ষার প্রযুক্তি, রাডার ব্যবস্থা এবং অস্ত্র কিনার পরামর্শ দেন মুরাত আসলান।
তবে চীনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে। তাছাড়া দেশটির অর্থনীতিও আরও দুর্বল হয়েছে। ফলে চীন-রাশিয়া থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং প্রযুক্তি কিনতে হলে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হবে ইরানকে। ইরানের পক্ষে কি এখন সেটা সম্ভব?
‘ইরানের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু ইরান টাকা দিয়ে কোনো অস্ত্র কিনবে না। তাদের আছে অফুরন্ত জ্বালানি তেল। তারা অস্ত্র নেবে, কিন্তু বিনিময়ে টাকার বদলে তেল দেবে—বলেন মুরাত আসলান