আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের আশ্রয় নীতিতে কঠোর পরিবর্তন এনেছে এবং ৭টি দেশকে “নিরাপদ” ঘোষণা করেছে, যেখানে বসবাস বা প্রত্যাবর্তন করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। এই তালিকায় ভারত, বাংলাদেশ ও মিশরসহ মোট সাতটি দেশ রয়েছে।
কোন দেশগুলো রয়েছে তালিকায়?
বুধবার ইইউ এই তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে—কসোভো, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, মিশর, ভারত, মরক্কো এবং তিউনিসিয়া।
এতে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কী পরিবর্তন আসবে?
এই তালিকা সম্প্রসারিত হওয়ায় নিরাপদ দেশগুলোর আবেদন দ্রুত নিস্পত্তির জন্য দ্রুত পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে
কারণ এসব দেশ থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন অনুমোদনের সম্ভাবনা কম।ইইউর অভিবাসন কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেন,”বহু সদস্য রাষ্ট্র আশ্রয়য়ের আবেদনের বিশাল জটের মুখোমুখি। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যেকোন ব্যবস্থা নেওয়া এখন জরুরী “
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইইউ একই ধরনের একটি তালিকা তৈরি করেছিল, তবে তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিতর্কের কারণে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।
এখনই কেন এই পরিবর্তন আনা হলো?
ব্রাসেলস এখন অনিয়মিত অভিবাসন কমানো এবং ফেরত পাঠানোর হার বাড়ানোর চাপের মুখে রয়েছে কারণ ইউরোপজুড়ে কট্টর-ডানপন্থী দলগুলো অভিবাসনবিরোধী মনোভাবকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে।
গত অক্টোবরে সুইডেন, ইতালি, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল এবং ইইউ কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছিল।
ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ানতেদোসি বলেন, “এই পরিবর্তন ইতালীয় সরকারের জন্য একটি সফলতা কারন আমরা সবসময় দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকভাবে এই নীতির পুনর্মূল্যায়নের জন্য কাজ করেছি “