আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরান আগেই ঘোষণা দিয়েছিল—শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার প্রতিশোধ তারা নেবে। এখন, সেই প্রতিশোধ বাস্তবায়িত হয়েছে।
শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন—যুক্তরাষ্ট্রের কোনও স্বার্থে ইরান হামলা চালালে, তার জবাবে আসবে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া। তিনি আরও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আরও অনেক লক্ষ্যবস্তু রয়েছে, যেগুলোতে আঘাত হানা হতে পারে।
এরপর টানা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিশ্ব অপেক্ষা করেছে—ইরান কী করে।
এখন, ইরান পদক্ষেপ নেওয়ার পর, দৃষ্টি আবার ঘুরে এসেছে হোয়াইট হাউসের দিকে।
যদি ক্ষয়ক্ষতি সীমিত হয়, তবে ট্রাম্প হয়তো সাময়িকভাবে সংযত থাকবেন—এই আশায় যে ইরান এখন হয়তো আন্তরিকভাবে আলোচনায় বসতে রাজি হবে।
একই রকম পরিস্থিতি ঘটেছিল জানুয়ারি ২০২০-তে, যখন ট্রাম্প বাগদাদে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নেতা কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেন।
ইরান তখন ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, শতাধিক মার্কিন সেনা আহত হয়, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা উত্তেজনা না বাড়িয়ে পিছু হটে।
সেই সময় ঠান্ডা মাথার কৌশলই জয়ী হয়েছিল।
তবে এবার যদি মার্কিন নাগরিক নিহত হন বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাহলে ট্রাম্পের ওপর পাল্টা জবাব দেওয়ার চাপ অনেক বেড়ে যাবে।
বোরবার মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলেছিলেন—আগের প্রেসিডেন্টদের মতো নন ট্রাম্প, তিনি হুমকি দিলে তা বাস্তবায়ন করেন।
কিন্তু সেই পথে হাঁটলে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে, যা এমনকি ট্রাম্পের নিজের সমর্থকরাও চায় না।