অর্থনীতি ডেস্ক:
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বাড়ছে। মঙ্গলবার দিনশেষে রিজার্ভ ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে, যা ২২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ যোগ হওয়ায় রিজার্ভ বেড়েছে।
গত সোমবার রিজার্ভ ছিল পৌনে ২২ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। গত ৬ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে ১৮৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নামে ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে। আর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম৬ অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ বেড়ে হয় ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে ছিল ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ পাচ্ছে সরকার। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, এআইইবিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা থেকে চলতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ পাচ্ছে সরকার। এতে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।
ঈদের কারণে চলতি মাসে টানা ১০ দিন বন্ধ ছিল ব্যাংক। এর মধ্যেও ২১ জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা প্রায় ১৯৯ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। গত বছরের জুন মাসের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ৮ কোটি ডলার বা ৪ শতাংশ বেশি। আর অর্থবছরের এ পর্যন্ত এসেছে ২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার, যা ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।