হাটহাজারীতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি, সাত ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট:

চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার শিক্ষার্থী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর রোববার সকাল থেকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এরআগে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে গতকাল সন্ধ্যা সাতটা থেকে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে দিবাগত রাত ১টার দিকে দুই পক্ষের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ায় যান চলাচল শুরু হয়।

এদিকে হাটহাজারীতে পৌরসদরে সংঘাত এড়াতে গতকাল রাত ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মুবিন ১৪৪ ধারা জারি করেন। যা রোববার বেলা তিনটা পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এছাড়াও দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার প্রায়ই ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।

মূলত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ দিকে রোববার বিকেল চারটায় দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী তারেক আজিজ জানিয়েছেন, গতকাল রাত ১টার দিকে ‘সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা দুই পক্ষকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেয়। এরপর থেকে রোববার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

জানা গেছে, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুসের র‌্যালিতে ফটিকছড়ি যাওয়ার পথে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার দিকে আঙুল তুলে ‘অশোভন ইঙ্গিত’ করেন আরিয়ান নামে এক যুবক। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আরিয়ান ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানি দিয়ে মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছেন।

প্রশাসন সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে প্রশাসন। সেখানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকজন আরিয়ানকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তবে আরিয়ানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান কওমী মাদ্রাসার সমর্থকরা। এ নিয়ে চূড়ান্ত সমাধানে রোববার বিকেলে দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছে উপজেলা প্রশাসন।

Share