নতুন বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিপ্লবের নায়ক

বিশেষ প্রতিবেদন :

যখন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে দেশ জুড়ে “নতুন বাংলাদেশ” গঠনের স্বপ্ন বোনা হচ্ছে, তখনই পেছন থেকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছেন আরেক প্রযুক্তিবিদ ও সমাজসেবী—ড. ইমাদুর রহমান। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নাম এখনো তেমনভাবে আলোচনায় আসেনি, তবে নীরবে তিনি হয়ে উঠছেন দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি।

সম্প্রতি ড. ইমাদুর রহমান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন লিমিটেড (BSCL)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এরিকসন-এর মতো বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন জাতির জন্য কিছু করার অদম্য ইচ্ছায়। বলা যায়, ড. ইউনুসের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশের সহযাত্রী হিসেবেই তার এই প্রত্যাবর্তন।

ড. ইমাদুর রহমানের পেশাগত জীবন এক কথায় অনন্য। তিনি এরিকসনের হেড অফ রিসার্চ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখেছেন। তার দাখিলকৃত প্যাটেন্টের সংখ্যা ৬০০-এর বেশী

যার মধ্যে ৩০০ টিরও বেশী ইউএস প্যাটেন্ট ইতোমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে। এটি তাকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবকদের কাতারে স্থান দিয়েছে। বিশেষ করে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন প্রযুক্তির উপর তার গবেষণা আজও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গবেষণাক্ষেত্রেও তার কৃতিত্ব অনন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নাল ও কনফারেন্সে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা অসংখ্য  এবং গুগল স্কলার-এ তার সাইটেশন সংখ্যা ২০০০-এরও বেশী প্রযুক্তির পাশাপাশি তিনি সামাজিক কাজেও অত্যন্ত সক্রিয়। বর্তমানে তিনি মুসলিম এইড সুইডেন চ্যাপ্টার-এর চেয়ারম্যান  হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং বাংলাদেশে এই সংগঠনটি নিয়মিতভাবে রমজানে দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ড. ইমাদুর রহমানের কার্যক্রম শুধুমাত্র প্রযুক্তি বা সমাজসেবায় সীমাবদ্ধ নয়; তিনি একজন দক্ষ নেতৃত্বও। তার উদ্যোগেই দেশে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট আনার কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা দেশের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট কাঠামোর উন্নয়নে নতুন যুগের সূচনা করেছে।

সুইডেনের স্টকহোমে তার পরিচিতি একজন সমাজসেবক, ইসলামিক সংগঠক ও প্রযুক্তিবিদের সম্মিলিত রূপ হিসেবে গড়ে উঠেছে। এমন এক ব্যক্তি যখন দেশের টেলিকম ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দিতে আসেন, তখন তা নিঃসন্দেহে নতুন বাংলাদেশের আশার আলো আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

Share