মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন একজন উপদেষ্টা : মির্জা ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট:

কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ওই এলাকার একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন।’

রোববার এক বিবৃতিতে একটি কুচক্রী মহল ঘটনাটিকে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিন দলটি সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলের মতো নিজেরাই সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল ও নির্যাতন করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক নারীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতন এক নির্মম কলঙ্কজনক ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। এই বর্বরোচিত ঘটনা দেশের মানুষকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। অথচ একটি কুচক্রী মহল এই কাপুরোষিত ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

ফ্যাসিবাদী আমলের মতো নিজেরাই সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল ও নির্যাতন করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ধারাবাহিকতা এখনও চলছে।

তিনি বলেন, মুরাদনগরের বাসিন্দা উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী এমপিদের মতো এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত রয়েছেন।

মুরাদনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর শ্লীলতাহানি ও সহিংসতা মনুষ্যত্বহীন, অমানবিক, পাশবিক ও মহল বিশেষের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের অভিসন্ধি। আবারও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার আওয়ামী নোংরা কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসিনার পতনের পরেও আমাদের চিরচেনা সেই সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে না এনে বরং বিনষ্ট করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য। এদিকে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অর্থ-বিত্তে সজ্জিত। নারী নির্যাতনসহ সহিংস সন্ত্রাসের গোপন অভিযান চালিয়ে উদোরপিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য তারা বিপজ্জনক গোপন অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। শক্তিশালী পক্ষের আশীর্বাদ আছে বলেই দুর্বৃত্তরা সহিংস কার্যাবলী চালাতে উৎসাহিত হচ্ছে। তবে সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য ও আত্মমর্যাদার জন্য ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে দুষ্কৃতকারী পাষণ্ডদের প্রতিহত করতে হবে সুস্থ সমাজ ও নিরাপদ রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য।

মির্জা ফখরুল মনে করেন, নারী নির্যাতনকারী অপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। তারা মানবসভ্যতার শত্রু, আমি অবিলম্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনকারী দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

Share