বিমানবন্দরে লাগেজে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন উদ্ধার, যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ

ডেস্ক রিপোর্ট:

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরক্কোগামী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের (টিকে-৭১৩) ফ্লাইটে উঠার সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার লাগেজ থেকে গুলিভর্তি অস্ত্রের ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

রোববার সকাল ৭টা ৮ মিনিটে ওই ঘটনা ঘটে। উপদেষ্টা মরক্কোর মারাকেশে ওআইসি যুব আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য সরকারি সফরে যাচ্ছিলেন। পরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম এই নায়ক জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ আন-ইন্টেনশনাল।’

বিমানবন্দর ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে আসিফ তার প্রটোকল কর্মকর্তাকে নিয়ে যান। পরে বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজ-৯ এ লাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় দায়িত্বরত এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা ম্যাগাজিনটি শনাক্ত করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর আসিফ মাহমুদকে গ্রিন চ্যানেল দিয়ে চলে যান। পরে তিনি ফ্লাইটে উঠে যান।

ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার ডেঞ্জারাস গুড রেগুলেশনের মধ্যে কেবিন ব্যাগেজে ম্যাগাজিন বহন নিষিদ্ধ। তবে লকড প্যাকেজে প্যাকিং নীতি মেনে আগে ঘোষণা দিয়ে চেক-ইন লাগেজে গুলি ও ম্যাগাজিন নেওয়া যায়। আগে সেটি ঘোষণা না দিলে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

69

এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ম্যাগাজিনটি শনাক্তের পর উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এটি ভুলবশত লাগেজে চলে এসেছে।

এদিকে, উপদেষ্টা আসিফ নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আজ ভোরে ফ্লাইট ছিল। ভোরে প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটা ম্যাগাজিন রেখে এলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়। যেটা স্ক্যানে আসার পর আমার প্রটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করে আসি।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ আন-ইন্টেনশনাল। শুধু ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব ভাই? ইন্টেনশন থাকলে অবশ্যই অস্ত্র রেখে আসতাম না। এখানে অবৈধ কিছু না থাকলেও অনেকের জন্যই এটা আলোচনার খোরাক বটে।’

ফেসবুকে তিনি আরো বলেন, তবে চাপ দিয়ে নিউজ সরানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ঘটনার পর আমি টিমসহ টানা ১০ ঘণ্টা ফ্লাইটে ছিলাম। ট্রানজিটে নেমেও দীর্ঘক্ষণ পর অনলাইনে এসে দেখতে পাচ্ছি যে এত কিছু ঘটেছে। নাগরিক হিসেবে আপনারও যদি নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে, যথাযথ নিয়ম ফলো করেও আপনিও অস্ত্রের লাইসেন্স করতে পারেন।’

Share