ডেস্ক রিপোর্ট:
ইনকিলাব মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম জুমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ক্রীড়া সম্পাদক তাবিব মাহমুদ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শোয়াইব আহম্মেদ আসিফ। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে সমালোচনার ঝড়।
বুধবার ফাতিমা তাসনিম জুমা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে বাম সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার মন্তব্যগুলোর স্ক্রিন শর্টও মন্তব্যের ঘরে যুক্ত করেছেন তিনি। কমেন্ট বক্সে তাবিব ও আসিফের নারীর প্রতি অশালীন মন্তব্যের অনেকেই সমালোচনা করছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন জুমা। আমার দেশ পাঠকদের জন্য কিছুটা এডিট সাপেক্ষে পোস্টটি তুলে ধরা হলো-
‘‘আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো রাজনীতিতে বেশিরভাগ ছোটোলোক দিয়ে ভরা, যারা মারাত্মক রকমের … ফ্রাস্ট্রেটেড। এরা হয় … করতে চায় নাহয় করাইতে চায়। নারীদের ব্যাপার হইলে তো আর কথাই নেই, এসব নোংরা কমেন্ট করা হইলো এদের কাছে রাজনৈতিক অস্ত্র।
এমন নয় যে আমি আজকে প্রথম বুলিড, বা …. ইঙ্গিতপূর্ণ কমেন্ট প্রথম পেলাম। বরং আমিই মেবি একমাত্র যে প্রত্যেকটা দলের বটদ্বারা এটাকড। এমন কোনো বিচ্ছিরি কাজ নাই যা আমার সাথে করে নাই। এবং আমি এসব কখনো প্রকাশ্যে এনে পোস্ট করিনি কারণ আমার মনে হয়েছে পাত্তা দিয়ে আমার আল্টিমেটলি কোনো লাভ নাই, ভিক্টিম হওয়াই একটু সিম্প্যাথি দেওয়া ছাড়া আর কারো কোনো … ছেড়ারও ক্ষমতা নাই। এতো বড়ো বড়ো দলের নেত্রীরা এতো আওয়াজ তুলেও কোনো লাভ হয়নি।
সো আজকে এই ব্যাপারে আমি কথা বলছি, কারণ কিছুদিন আগে নারী মৈত্রীর ব্যাপারে যখন আমি পোস্ট দিয়েছিলাম যে যারা আজকে বড়ো বড়ো নারীবাদের বুলি আওড়াচ্ছে এরা নিজেরাই কী পরিমাণ নোংরা তার সাক্ষী আমি। সেখানে ইউনিয়নসহ সকল বামপাড়ার লোকেরা কমেন্ট করেছে আমি যেন প্রকাশ করি কারা নারীর প্রতি অসহনশীল।
আইরনি হইলো আজকে ছাত্র ইউনিয়নের দুইজন আসিফ ও তাবিব আমার কমেন্ট বক্সে রাজনৈতিক কাউন্টার দিতে না পেরে বেশ অনেকগুলো কমেন্টে হাদী ভাইকে সুগার ড্যাডি, ড্যাডি ইত্যাদি কমেন্ট করেছে। আমি যখন প্রতিবাদ করলাম নির্লজ্জের মতো জাস্টিফাই করেছে সেখানে কারো নাম ধরেনি।
তা ভাই হেফাজত ও তো বে/শ্যা কারো নাম ধরে বলেনি, তার প্রতিবাদে এতো বড়ো সমাবেশ করে ফেললা যে! নাম না ধরলে সেটা হ্যারাজমেন্টে পড়েনা? নাকি আমি শাহবাগী আইডিওলজির না, স্লীভলেস পরিনা দেখে আমি নারী না? নারী হওয়ার ক্রাইটেরিয়া শাহবাগী হইতে হবে আইডিওলজির দিক দিয়া?
আজকের ঘটনা যদি আমার বদলে বামপাড়ার কোনো নারীর সাথে হতো অথবা ইনকিলাবের কেউ এই ধরনের কমেন্ট করতো সেটা হয়ে যেতো ন্যাশলান ইস্যু। ব্যক্তির দায়ে পুরো সংগঠন নিষিদ্ধ চাইতো। এখন যেহেতু ছাত্র ইউনিয়ন করেছে সেটা নিয়ে কোনো টু শব্দ ও হবেনা।
বামপাড়ার সকলকে আমি দেখাইলাম কারা নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করে। কারা সেক্সুয়াল কন্টেক্সট টেনে নোংরামি করে। খুব তো কমেন্ট করসিলেন, এখন দেখান কী করতে পারবেন আপনারা।
আমি যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছি। এইবার হিপোক্রেসি আর সহ্য করবোনা। আইনীভাবেই আগাবো। তার আগে দেখতে চাই ছাত্র ইউনিয়ন সহ তাদের ভাইব্রাদারদের কাছে এইটা অপরাধ নাকি ভিক্টিম ব্লেইমিং সহ চরিত্র টানাটানি ই শেষ অবলম্বন।
(কমেন্টে সব ছবি এড করে দিচ্ছি। শাহবাগে রমজানে বসার টাইমের নোংরামিগুলো আমি সব ডিলিট করে দিয়েছিলাম সামনে এলে ট্রমাটাইজড লাগে বলে। তাও এক দুইটা পেলে দিবো। আপনারা দেখবেন বামপাড়ার নারী প্রেম জাস্ট একটা টুল! এরা না নারীর প্রতি সহনশীল আর না শ্রদ্ধাশীল!)’’
এদিকে, পোস্টের কমেন্ট বক্সে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের চরিত্র নিয়ে নানা সমালোচনা করছেন। সেই সঙ্গে জুমার পাশে থাকার ঘোষণা এবং তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকে।