ঢাবিতে ফের বাম মিছিলে উত্তেজনা, ‘শাহবাগী, শাহবাগী’ দুয়োধ্বনি

ডেস্ক রিপোর্ট:

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেওয়ার রায়ের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মিছিলে ছাত্র শিবিরের হামলার অভিযোগে বামপন্থিদের মশাল মিছিলে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

বুধবার সন্ধ্যায় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর মশাল মিছিল ঘিরে হলপাড়া এলাকাসহ ক্যাম্পাসজুড়ে ‘শাহবাগী, শাহবাগী’ দুয়োধ্বনিতে তৈরি হয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে টিএসসি থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি মুহসিন হল, হলপাড়া, মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেয় ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।

মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা “জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়”, “গুপ্ত বাহিনীর আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও”, “লীগ গেছে যেই পথে, শিবির যাবে সেই পথে”, এবং “হাসিনা-আজহার এই বাংলার গাদ্দার” স্লোগান দেয়।

তবে মিছিলটি হলপাড়ায় পৌঁছালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজয় একাত্তর, মুহসিন ও এফআর হল থেকে “ভুয়া ভুয়া” এবং “শাহবাগী, শাহবাগী” স্লোগান দিতে শুরু করেন কিছু শিক্ষার্থী। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বামপন্থী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও আরও জোরালো স্লোগান দিতে থাকেন। যদিও কোথাও সরাসরি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি, তবে মুখোমুখি অবস্থানে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ বলেন, “ছাত্রলীগের আমলে যেমন মিছিল ভাঙতে মব তৈরি করা হতো, ঠিক তেমনি আজ হলপাড়ায় শিবিরের মাধ্যমে সে চিত্রই আমরা দেখেছি। রাজশাহী ও চট্টগ্রামে হামলা জামায়াত-শিবিরের ঐতিহ্যেরই অংশ।”

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিতু সরকার বলেন, “এই ইন্টারিম সরকার বিচারহীনতার ধারক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেখ মুজিব যেমন যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়েছিল, আজ সেই ধারারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে।”

বিপ্লবী যুব আন্দোলন মহানগরের আহ্বায়ক নাঈম উদ্দিন বলেন, “জামায়াত-শিবির একাত্তরে যা করেছিল, আজ রাজশাহী ও চট্টগ্রামে আবারও তাই করছে। এদের দমন না করলে গণতন্ত্র ও মানবিক অধিকার বিপন্ন হবে।”

উল্লেখ্য, এর আগের দিন মঙ্গলবার রাতে একই দাবিতে মশাল মিছিল বের করে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। টানা দুদিন এমন উত্তেজনা বিরাজ করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

Share