তানভীর আহমদ তোহা:
জামায়াতের লোগো পরিবর্তন জামায়াতের রাজনীতিতে কর্মপদ্ধতিগত সংস্কারের একটি বড় ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাংলাদেশের অন্য রাজনৈতিক দলে এমন সংস্কারের ধাপ এলে অনেক আগেই ব্যাপক মিডিয়া শোরগোল হতো। কিন্তু জামায়াত অনেকটা ধমকা হাওয়ার মতো নীরবে তার কর্মপদ্ধতিগত সংস্কার সম্পন্ন করেছে বলে মনে হচ্ছে।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে জামায়াত যে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির দিকে সর্বাত্মক মনোযোগ দিচ্ছে ; লোগো পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জামায়াত সেই বিষয়টিই ইতিবাচক বার্তা হিসেবে তুলে ধরেছে।
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, জামায়াত তিউনিসিয়ার আল-নাহদা পার্টির মতো এগোচ্ছে। তবে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান জামায়াতের আল-নাহদা কৌশলকে কতটা কার্যকর করবে ;সেটিও গভীরভাবে চিন্তার বিষয় বলে আমার ব্যাক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে । বর্তমানে জামায়াত অনেক বেশি “জনতুষ্টির” রাজনীতি করতে চাইছে। সেই কারণে জামায়াত আগামী সংসদ নির্বাচনে অমুসলিম প্রার্থীও দিতে পারে। জামায়াতের অভ্যন্তরীণ ঐক্যের সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে দলটি বিভিন্নভাবে তাদের জনশক্তিকে আদর্শিক বোঝাপড়া স্পষ্ট করে দেয়।
বর্তমানে জামায়াতের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো “জনতুষ্টির” রাজনীতি এবং আদর্শিক রাজনীতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা । কারণ, ইতিমধ্যেই দলের লোগো পরিবর্তন নিয়ে জামায়াতের সাহিত্য অর্ধ-হজম করা কিছু জনশক্তি তাদের আপত্তি জানিয়েছেন।
জামায়াত আপাতত শরীয়াহ আইন বাস্তবায়নের পথে না গিয়ে “অধিকার ও ইনসাফের” রাজনীতি করছে। এর মাধ্যমে জামায়াত বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চাইলেও, দলের ইতিবাচক পরিবর্তনে অবিশ্বাসী জনশক্তিদের কিভাবে সামাল দেবে সেটিও দেখার বিষয়।
লেখক:প্রধান সম্পাদক , তেঁখ বাংলা